ফ্রোজেন সোল্ডার বা কাঁধের সন্ধিতে ব্যাথার কারণ ও প্রতিকার
ফ্রোজেন সোল্ডার
ফ্রোজেন সোল্ডার বা কাঁধের সন্ধিতে ব্যাথা । ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলা হয় অ্যাডেসিভ ক্যাপ্সুলাইটিস । দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, অস্ত্রপ্রচার বা আঘাত পেলে , কাঁধের মাংসপেশী মচকালে বা ছিঁড়ে গেলে ফ্রোজেন সোল্ডার হতে পারে । এক্ষেত্রে জয়েন্টের মধ্যকার সাইনোভিয়োল ফ্লুইড কমে যেতে থাকে । সাধারণত ৪০-৬০ বছর বয়সে এবং নারীদের এরোগ বেশি হয়ে থাকে । ফ্রোজেন সোল্ডার পুরোপুরি সারতে অনেক সময় লেগে যায় । সময়মত চিকিৎসা না নিলে দু’তিন বছর পর্যন্ত লেগে যায় । অনেক সময় সন্ধি পুরোপুরি অকেজো হয়ে যেতে পারে ।
ফ্রোজেন সোল্ডারের কারণ
১ আঘাত জনিত ব্যাথা ।
২ প্লাস্টার পরবর্তী জয়েন্ট শক্ত হয়ে যাওয়া ।
৩ অপারেশন পরবর্তী জয়েন্ট শক্ত হয়ে যাওয়া ।
৪ সারভাইক্যাল রেডিকুলোপ্যাথি ।
৫ এডহ্যাসিভ ক্যাপসুলাইটিস ।
৬ রোটেটর কাফ ইনজুরি ।
৭ সুপার স্পাইনাটাস টেনডিনাইটিস ।
৮ অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস , পক্ষাঘাত , স্ট্রোকের পর এসমস্যা দেখা দেয় ।
উপসর্গ
কাঁধের এক পাশ বা দুই পাশেই ব্যাথা হলে ।
খাবার খেতে বা চুল আঁচড়াতে কাঁধে ব্যাথা অনুভূত হলে ।
দৈনন্দিন কাজে হাত নাড়াচাড়ায় ব্যাথা হলে ।
ব্যাথা কাঁধের চারপাশেও হতে পারে , বাহু দিয়ে নিচেও নামতে পারে ।
চিকিৎসা
চিকিৎসকের নির্দেশ মতো নিয়মিত ব্যায়াম করা ।
ব্যাথা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যাথানাশক ওষুধ খাওয়া ।
ব্যাথার দিকে কাত হয়ে না শোয়া ।
ভারী জিনিসপত্র না তোলা ।
ডায়াবেটিস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখা ।
ব্যাথার স্থানে মালিশ না করা ।
শুধুমাত্র ওষুধে ফ্রোজেন সোল্ডার ভালো হয় না । ওষুধের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপির প্রয়োজন হয় । ফিজিওথেরাপি হচ্ছে এ রোগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিহীন আধুনিক চিকিৎসা । ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে সোল্ডার জয়েন্ট স্বাভাবিক করা হয় । আইএফটি , আলট্রাসাউন্ড থেরাপি , ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন , মবিলাইজিং এক্সারসাইজ , লেজার থেরাপি, ম্যানুপুলেশন থেরাপি প্রভৃতি ফ্রোজেন শোল্ডার সমস্যায় দেওয়া হয় । এছাড়া পেন্ডুলাম এক্সারসাইজ, পুলি এক্সারসাইজ, সোল্ডার হুইল এক্সারসাইজ এর মাধ্যমে আরোগ্য লাভ সম্ভব ।
এইচ/
ছবিঃ সংগ্রহ