গাজা ইসরাইল

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও ইসরাইলের হামলায় ৩৫৪ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। খবর, এএফপি।

মার্কিন মধ্যস্থতায় হওয়া নাজুক যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকাকালেই প্রাণহানির সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে দু’পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ অব্যাহত রেখেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ হাজার ১০০ জনে।

এতে আরও বলা হয়, গত ৪৮ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকার হাসপাতালগুলোতে আরও দুটি মরদেহ পৌঁছেছে। এর মধ্যে একটি ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, প্রাণহানীর সংখ্যা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার কারণ হল, এবার আরও ২৯৯টি মরদেহের তথ্য যাচাই-বাছাই ও অনুমোদন করেছে কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ সব মৃত্যুর ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ের নয়, আগের কিছু তথ্যও হিসাবের যোগ হয়েছে।

যুদ্ধবিরতি চললেও গাজায় এখনও ভয়াবহ মানবিক সংকট চলছে।

ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে জাতিসংঘ ঘোষিত ‘আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস’ (প্রতি বছরের ২৯ নভেম্বর) পালনের দিনেই প্রাণহানির সর্বশেষ এ পরিসংখ্যান সামনে এল।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে বলেন, এ ট্র্যাজেডি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের আইন ও নীতিকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছে। এত বিপুল সংখ্যক বেসামরিক মানুষকে হত্যা, পুরো জনগোষ্ঠীর বারবার বাস্তুচ্যুতি এবং মানবিক সহায়তায় বাধা দেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি খানিকটা আশার আলো দেখিয়েছে। কিন্তু সব পক্ষের আন্তরিকভাবে তা মেনে চলা এবং আন্তর্জাতিক আইন পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কাজ করা এখন জরুরি বিষয়।

আরও খবর