রেড জোন

গ্রিন, ইয়োলো ও রেড জোন কি?

সারাদেশে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের মাত্রা নির্ণয় করে রেড জোন, ইয়োলো জোন ও গ্রিন জোনে চিহ্নিত করে নতুনভাবে শুরু হতে যাচ্ছে লকডাউন। এ ক্ষেত্রে কঠোরভাবে রেড জোন এলাকাগুলোকে লকডাউন করে নিশ্চিত করা হবে ওই এলাকা থেকে কোনোভাবেই যেন কেউ বাইরে যেতে না পারে। একইসঙ্গে এলাকাভিত্তিক সংক্রমণের মাত্রা বিবেচনায় গ্রিন জোন ও ইয়ালো জোন চিহ্নিত করে সেসব এলাকায় নেওয়া হবে বিশেষ ব্যবস্থা।

রেড, গ্রিন ও ইয়োলো এই তিনটি জোন প্রতিটি জায়গার অবস্থা বুঝে দেয়া হবে।

রেড জোন

যেসব জেলা বা এলাকাগুলোতে করোনা আক্রান্তের হার অত্যন্ত বেশি, অর্থাত্‍‌ ‘হটস্পট’ বা কন্টেনমেন্ট এলাকা যেখানে বেশি, সেগুলোকেই রেড জোনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বোঝাতেই রেড জোন হিসেব চিহ্নিত করা হয়। এই রেড জোনগুলোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত কড়া পদক্ষেপ করতে হয় প্রশাসনকে। সামান্য গাফিলতির ফল ভয়ংকর হতে পারে। তাই বিশেষ নজরদারি চালিয়ে কড়া হাতে লকডাউন করতে হয়।

ইয়োলো জোন

সংক্রমণ আছে কিন্তু তার হার রেড জোনের তুলনায় অনেক কম, হটস্পট নয়, এমন জেলা বা এলাকাগুলোকে ইয়োলো জোনের মধ্যে ফেলা হয়। রেড জোনে সংক্রমণ কমে এলে, তা ইয়োলো জোনে চলে আসে। আবার গ্রিন জোনে সংক্রমণ দেখা দিলে, তা ইয়োলো জোনে ঢুকে পড়ে। অর্থাৎ এটা মধ্যবর্তী জোন।

গ্রিন জোন

সংক্রমণ-মুক্ত বা করোনা ফ্রি জেলা  বা এলাকাগুলোকে গ্রিন জোনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই জোনে করোনা সেভাবে প্রভাব বিস্তার করে না। ১৪ দিনের মধ্যে কোনো এলাকা বা জেলায় নতুন করে করোনা আক্রান্তের সন্ধান না মিললে, ধরে নেয়া হয় সেই জেলা করোনামুক্ত। অর্থাত্‍‌ গ্রিন জোন তুলনামূলক স্বস্তির জোন। তবে বিপদমুক্ত বা ঝুঁকিমুক্ত কখনোই নয়। সামান্য গাফিলতে গ্রিন জোনও ইয়োলো জোনে পরিণত হতে পারে।

ছবিঃ সংগ্রহ

আরও খবর