প্রিন্স ফিলিপ

মারা গেছেন প্রিন্স ফিলিপ

রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী প্রিন্স ফিলিপ মারা গেছেন। বাকিংহাম প্যালেস ঘোষণা করেছে, গত কয়েক দশক ধরে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের নিরন্তর পাশে থাকা ব্রিটেনের প্রিন্স ফিলিপ শুক্রবার ৯৯ বছর বয়সে মারা গেছেন। সাবেক এই নৌ-কমান্ডার তার জীবনের বেশিরভাগ সময় দাতব্য কাজে রানীর সঙ্গী হিসাবে উৎসর্গ করেছিলেন।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং এর এক মাস পর তিনি বাড়ি ফিরেন। এ সময় তার হৃদযন্ত্রের অবস্থা এবং সংক্রমণের জন্য চিকিৎসা করা হয়। ফিলিপ ২০১৭ সালে ৯৬ বছর বয়সে পাবলিক দায়িত্ব থেকে অবসর নেন। জুন মাসে তার ১০০ তম জন্মদিনের ঠিক কয়েক মাস আগে তিনি মারা গেলেন।

এই দম্পতি গত নভেম্বরে তাদের ৭৩ তম বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করেন। কোভিড-১৯ ঝুঁকির কারণে তারা লন্ডনের পশ্চিমে উইন্ডসর ক্যাসলে মূলত বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করছিলেন। ফিলিপ এবং রানী জানুয়ারিতে ভাইরাসের প্রতিরোধে প্রথম টিকা গ্রহণ করেন।

ষাট বছরেরও বেশি সময় ব্রিটেনের রানির পার্শ্ব-সহচর ও একান্ত সমর্থক প্রিন্স ফিলিপ বা ডিউক অফ এডিনবারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটিশ রাজ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তিতে পরিণত হন। রানির জীবন সঙ্গী হলেও ফিলিপের কোনো সাংবিধানিক দায়িত্ব ছিল না। কিন্তু রাজ পরিবারের এতো ঘনিষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ তিনি ছাড়া আর কেউ ছিলেন না।

তিয়াত্তর বছর তিনি ছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী। রানির আদেশেই ব্রিটিশ রাজতন্ত্রে একসময় তিনি হয়ে ওঠেন দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। জীবন সঙ্গী হিসেবে রানিকে তাঁর কাজে সহযোগিতা করলেও বিশেষ কিছু কাজের ব্যাপারে প্রিন্স ফিলিপের বিশেষ আগ্রহ ছিল।

পরিবেশ ও তরুণদের জন্যে অনেক কাজ করেছেন তিনি। স্পষ্টভাষী হিসেবেও পরিচিতি ছিল প্রিন্স ফিলিপের। এই দীর্ঘ সময় ধরে রানি ও ব্রিটিশ রাজ পরিবারের প্রতি একনিষ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতার জন্যে তিনি যথেষ্ট শ্রদ্ধাও অর্জন করেন।

রাজ পরিবারের নানা আনন্দ উৎসব আর কঠিন চ্যালেঞ্জের সময় তিনি সবসময় ছিলেন রানির পাশে। নিজের ভূমিকার কথা বলতে গিয়ে তিনি একবার বলেছিলেন, তাঁর কাছে যেটা সবচেয়ে ভাল মনে হয়েছে তিনি সেই কাজটাই করেছেন।

তিনি বলেন, কেউ কেউ মনে করেন ঠিক আছে, আবার কেউ ভাবেন ঠিক হয়নি- তো আপনি কি করতে পারেন! আমি যেভাবে কাজ করি সেটাতো আমি হঠাৎ করে বদলাতে পারি না। এটা আমার স্টাইলেরই একটা অংশ।

ছবিঃ সংগ্রহ

আরও খবর